এবিএনএ: এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে বিখ্যাত সাবেক পর্নো তারকা মিয়া খলিফার। তার পাণি প্রার্থনা করেছিলেন সুইডেনের শেফ রবার্ট স্যান্ডবার্গ। তা গ্রহণ করেছেন মিয়া। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব। অবশেষে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ লিখেছে, মিয়া খলিফা পর্নো জগতের লিজেন্ড। একই সঙ্গে তিনি স্পোর্টস শোয়ের উপস্থাপিকা। তার প্রতি দুর্বল হাজার হাজার যুবক। তার জন্য পাগল তারা। কিন্তু মিয়া খলিফা কি করলেন! তিনি তাদের হৃদয় ভেঙে দিলেন! আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, পাত্রীর বাজার থেকে তিনি আউট। অর্থাৎ তাকে লুফে নিয়েছে কেউ।
মিয়া খলিফা লেবাননে জন্ম নেয়া আমেরিকান সাবেক পর্নো তারকা। দীর্ঘদিন তার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেন সুইডিশ শেফ রবার্ট স্যান্ডবার্গ। তিনি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বৃহস্পতিবার। অমনি তা লুফে নেন মিয়া খলিফা। কিন্তু এই খুশির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করতে যেন তারা কালবিলম্বও করতে পারছিলেন না।
ইন্সটাগ্রামে রবার্ট স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, সপ্তাহান্তে আমরা গিয়েছিলাম শিকাগো। সেখানে স্মিথে চমৎকার এক নৈশভোজ করেছি। এ সময় আমি মিয়া খলিফাকে প্রস্তাব দিয়েছি। সে ‘হ্যাঁ’ বলেছে। এ সময় নিম্নমানের শুকনো খাবারের একটি গামলার মধ্যে আংটি লুকানো ছিল। মিয়া এত কৌতুহলী ছিল যে সে এই খাবারের স্বাদ নিতে দেরি করতে পারছিল না। সে সেই নিম্নমানের খাবারই খাওয়া শুরু করলো। তাকে এসব খেতে বারণ করলাম। তারপর আংটিটি বেরিয়ে এলো। আমি তার আঙ্গুলে পরিয়ে দিলাম। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি।
এ জন্য সেখানকার শেফ ও টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পরে অবশ্য মিয়া খলিয়া তার এনগেজমেন্টের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। নিজের সঙ্গে স্যান্ডবার্গের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, রবার্ট স্যান্ডবার্গের প্রস্তাবকে সাহায্য করার জন্য স্মিথ শিকাগোর পুরো টিমকে লাখোবার ধন্যবাদ। রবার্ট এই খায়েশটা তার মনের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে রেখেছিল। আমি আপনাদের সবাইকে ভালবাসি। ধন্যবাদ। তবে এটাই মিয়া খলিফার প্রথম বিয়ে নয়। এর আগে ২০১১ সালে তিনি হাইস্কুলে পড়া তার বন্ধুকে বিয়ে করেছিলেন। তিন বছর পরে তারা আলাদা বসবাস করা শুরু করেন। ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।